বাংলা সাহিত্যে পঞ্চ পান্ডব - Binodon Khabor
বৃহস্পতিবার,২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলা সাহিত্যে পঞ্চ পান্ডব

ত্রিশের দশকের বিশিষ্ঠ ৫ জন কবি রবীন্দ্র প্রভাবের বাইরে গিয়ে বাংলা ভাষায় আধুনিক কবিতা সৃষ্টি করেছিলেন।

by admin
বাংলা সাহিত্যে পঞ্চ পান্ডব কারা

বাংলা সাহিত্যে পঞ্চ পান্ডব: ত্রিশের দশকের বিশিষ্ঠ ৫ জন কবি রবীন্দ্র প্রভাবের বাইরে গিয়ে বাংলা ভাষায় আধুনিক কবিতা সৃষ্টি করেছিলেন। তাদের ৫ জনকে বাংলা সাহিত্যে পঞ্চ পান্ডব/ ত্রিশের কবি/কল্লোলের কবি বলা হয়। তারা হলেনঃ- ১. অমিয় চক্রবর্তী ২. বুদ্ধদেব বসু ৩. জীবনানন্দ দাশ ৪. বিষ্ণু দে ৫. সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। বাংলা সাহিত্যে পঞ্চ পান্ডব কারা,

অমিয় চক্রবর্তীঃ

(১৯০১-১৯৮৬) কবি, গবেষক ও শিক্ষাবিদ। জন্ম ১০ এপ্রিল, ১৯০১ শ্রীরামপুর, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ। তাঁর পিতা দ্বিজেশচন্দ্র চক্রবর্তী আসামের গৌরীপুর রাজ্যের দীউয়ান ছিলেন। অমিয় চক্রবর্তী পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ পাস (১৯২১) করে শান্তিনিকেতনের গবেষণা বিভাগে যোগদান করেন। পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন ও সাহিত্যে এম.এ ডিগ্রি লাভ (১৯২৬) করেন। পরে তিনি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (১৯২৬-১৯৩৩)। তিনি ১৯৩৩ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কাজে যোগ দেন এবং ১৯৩৭ সালে সে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিফিল ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৪০ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন।

অমিয় চক্রবর্তীঃ

১৯৪৮-১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনি সপরিবারে আমেরিকায় বসবাস করেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত হাওয়ার্ড, বস্টন ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক প্রাচ্য ধর্ম ও সাহিত্যে অধ্যাপনা কাজে নিয়োজিত ছিলেন। কবি ইয়েটস, জর্জ বার্নাড’শ, আলবার্ট আইনস্টাইন, রবার্টফ্রস্ট, আলবার্ট সোয়ইটজর, বোরিস পান্তেরনাক, পাবলো কাসালস্ প্রমুখ বিশ্ববরেণ্য লেখকদের সঙ্গে তাঁর ছিল অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। প্রায় সব ক’টি মহাদেশের অসংখ্য দেশে নানাবিধ কর্মসূত্রে তিনি ভ্রমণ করেন। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে বক্তৃতা দিয়েছেন। এ কারণে অমিয় চক্রবর্তীর কবিতায় আন্তর্জাতিক বিশ্বপরিবেশের অনেক ভৌগোলিক স্থানের নাম, বর্ণনা ও চিত্র লক্ষ করার মতো। তার কবিতা বিশ্বময়তাকে ধারণ করেছে; এটি তার কবিতাকে দিয়েছে বিশিষ্টতা। এ ছাড়া তাঁর কবিতায় আছে এ অঞ্চলের চিরায়ত বিষয় মরমী সুর ও আধ্যাত্মিকতা। অমিয় চক্রবর্তী তাঁর জীবনের প্রথম দিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিকট-সান্নিধ্যে এসেছিলেন।

বাংলা সাহিত্যে পঞ্চ পান্ডব কারা

বুদ্ধদেব বসুঃ

(১৯০৮-১৯৭৪) সাহিত্যিক, সমালোচক, সম্পাদক। ১৯০৮ সালের ৩০ নভেম্বর কুমিল্লায় জন্ম। তাঁর পরিবারের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের মালখানগরে। জন্মের অল্প পরেই ধনুষ্টংকারে তাঁর মাতৃবিয়োগ ঘটে এবং পিতা ঢাকা বারের উকিল ভূদেবচন্দ্র বসু পরিব্রজ্যা গ্রহণ করে নিরুদ্দেশ হন। এমতাবস্থায় বুদ্ধদেব মাতুলালয়ে লালিত-পালিত হন। তাঁর শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের প্রথমভাগ কাটে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ঢাকায়। ঢাকা থেকে প্রগতি (১৯২৭-১৯২৯) এবং কলকাতা থেকে কবিতা (১৯৩৫-১৯৬০) পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনা তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য কর্ম। কবিতাবিষয়ক কবিতা পত্রিকাটি তখন সাহিত্যিক মহলে উচ্চ প্রশংসা লাভ করে; রবীন্দ্রোত্তর কবিতা-আন্দোলনেও এর ভূমিকা স্বীকৃত। বুদ্ধদেব নিজেও রবীন্দ্র-প্রভাববলয় থেকে বেরিয়ে আসেন।শুধু কবিতা নয়, বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বুদ্ধদেবের স্বচ্ছন্দ বিচরণ ছিল। তিনি রোম্যান্টিক কবিচেতনার অধিকারী ছিলেন; তবে পরবর্তীকালে তিনি আবেগ অপেক্ষা মননশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মননশীল প্রবন্ধ ও সাহিত্য-সমালোচনায় তিনি সূক্ষ্ম বুদ্ধিবৃত্তির পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর গদ্যশৈলীতে আছে ব্যক্তিত্বের ছাপ। পদ্যগদ্য মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থসংখ্যা শতাধিক।

জীবনানন্দ দাশঃ

(১৮৯৯-১৯৫৪) কবি, শিক্ষাবিদ। তিনি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে। তাঁর পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক। তিনি ব্রহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন কবি।জীবনানন্দ বরিশাল ব্রজমোহন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক (১৯১৫), বি এম কলেজ থেকে আই.এ (১৯১৭) এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ বি.এ (১৯১৯) ও ইংরেজিতে এম.এ (১৯২১) পাস করেন। আইন কলেজে ভর্তি হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি পরীক্ষা দেননি। জীবনানন্দ কলকাতা সিটি কলেজে ১৯২২ সালে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা শুরু করেন।

জীবনানন্দ দাশঃ

১৯২৯ সালে তিনি সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাগেরহাট প্রফুল্লচন্দ্র কলেজে যোগ দেন, কিন্তু কিছুদিন পর চাকরি ছেড়ে কলকাতায় চলে যান। ওই বছরই (১৯২৯) তিনি দিল্লির রামযশ কলেজে যোগ দেন এবং ১৯৩০-এ আবার দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। পরে কিছুকাল বেকার থেকে জীবনানন্দ ১৯৩৫ সালে বরিশালের বিএম কলেজে যোগদান করেন। এভাবে তাঁর কর্মজীবন বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনায় এবং মাঝে মাঝে অন্য পেশায় অতিবাহিত হয়। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের কিছু আগে তিনি সপরিবারে কলকাতা চলে যান।জীবনানন্দ ছিলেন বাংলা কাব্যান্দোলনে রবীন্দ্রবিরোধী তিরিশের কবিতা নামে খ্যাত কাব্যধারার অন্যতম কবি। পাশ্চাত্যের মডার্নিজম ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বঙ্গীয় সমাজের বিদগ্ধ মধ্যবিত্তের মনন ও চৈতন্যের সমন্বয় ঘটে ওই কাব্যান্দোলনে।

বিষ্ণু দেঃ

(১৯০৯-১৯৮২) কবি, প্রাবন্ধিক, চিত্রসমালোচক ও শিল্পানুরাগী। ১৯০৯ সালের ১৮ জুলাই কলকাতার পটলডাঙ্গায় তাঁর জন্ম। পিতা অবিনাশচন্দ্র দে ছিলেন অ্যাটর্নি। কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউট ও সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলে বিষ্ণু দে অধ্যয়ন করেন। ১৯২৭ সালে তিনি এ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। তারপর বঙ্গবাসী কলেজ থেকে আইএ (১৯৩০), সেন্ট পলস কলেজ থেকে ইংরেজিতে বিএ অনার্স (১৯৩২) এবং থেকে ইংরেজিতে এমএ (১৯৩৪) ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষা সমাপনান্তে তিনি অধ্যাপনাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে ১৯৩৫ সালে কলকাতার রিপন কলেজে যোগদান করেন। পরে (১৯৪৪-১৯৪৭), মৌলানা আজাদ কলেজ (১৯৪৭-১৯৬৯) ও কৃষ্ণনগর কলেজে তিনি অধ্যাপনা করেন।

বাংলা কবিতার:

বিষ্ণু দে ত্রিশোত্তর বাংলা কবিতার নব্যধারার আন্দোলনের প্রধান পাঁচজন কবির অন্যতম ছিলেন। তিনি মার্কসবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ ছিলেন। কাব্যভাবনা ও প্রকাশরীতিতে বুদ্ধিবৃত্তি ও মননশীলতাকে অঙ্গীকার করেই তিনি কবিতা লেখেন। তাঁর কবিতায় টি.এস এলিয়টের কবিতার প্রভাব রয়েছে। দেশের অতীত ও বর্তমানের নানা বিষয় এবং বিদেশের বিশেষত ইউরোপের শিল্প-সাহিত্যের বিচিত্র প্রসঙ্গ তাঁর কাব্যের শরীর ও চিত্রকল্প নির্মাণ করেছে। এসব কারণে তাঁর কাব্য দুর্বোধ্যতার অভিযোগ থেকে মুক্ত নয়। খ্যাতনামা কবি বিষ্ণু দে ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের সতীর্থ এবং চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের বন্ধু। যামিনী রায়ের অনুপ্রেরণায়ই তিনি শিল্প-সমালোচনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বেশ কয়েকখানি মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। তিরিশের কাব্যধারায় বিষ্ণুদের মধ্যেই প্রথম রাবীন্দ্রিক কাব্যবলয় অতিক্রমণের প্রয়াস লক্ষ করা যায়। মার্কসীয় তত্ত্বকে জীবনাবেগ ও শিল্পসম্মত করে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্য অপরিসীম।

সুধীন্দ্রনাথ দত্তঃ

(৩০ অক্টোবর ১৯০১ – ২৫ জুন ১৯৬০) বাংলা ভাষার একজন প্রধান আধুনিক কবি। বিংশ শতকের ত্রিশ দশকের যে পাঁচ জন কবি বাংলা কবিতায় রবীন্দ্র প্রভাব কাটিয়ে আধুনিকতার সূচনা ঘটান তাদের মধ্যে সুধীন্দ্রনাথ অন্যতম। তাকে বাংলা কবিতায় “ধ্রুপদী রীতির প্রবর্তক” বলা হয়।

বাংলা সাহিত্যে পঞ্চ পান্ডব কারা

জন্ম: ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯

পিতা: সত্যানন্দ দাশগুপ্ত

মাতা: বিখ্যাত কবি কুসুমকুমারী দাশ

মৃত্যু  ২২ অক্টোবর ১৯৫৪

জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রকৃতির কবি হিসেবে তিনি পরিচিত।

জীবনানন্দ দাশ যে সকল নামে পরিচিত: নির্জনতার কবি, রূপসী বাংলার কবি,তিমির হননের কবি ,ধূসরতার কবি,।

পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত, মাতা বিখ্যাত কবি কুসুমকুমারী দাশ।

১৯১৯ সালে ব্রাহ্মবাদী পত্রিকার বৈশাখ সংখ্যায় তার প্রথম কবিতা ‘বর্ষা আবাহন’ প্রকাশিত হয়।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২১ সালে ইংরেজিতে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯২২ সালে কলকাতার নামধারী সিটি কলেজে টিউটর হিসেবে অধ্যাপনা করেন।   

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ মৃত্যুবরণ করলে (১৯২৫) তিনি ‘দেশবন্ধুর প্রয়াণে’ নামে একটি কবিতা লিখেন। এটি ‘বঙ্গবাণী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

কলকাতার বালিগঞ্জে এক ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ২২ অক্টোবর ১৯৫৪ কলকাতার শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে মারা যান।

প্রধান সাহিত্যকর্ম:বাংলা সাহিত্যে পঞ্চ পান্ডব

উপন্যাস

জীবনান্দন দাশ এর মূল্যবান ১৪ টি উপন্যাস রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ

মাল্যবান (১৯৭৩), সুতীর্থ (১৯৭৪), কল্যাণী, চারজন

প্রবন্ধগ্রন্থ:

কবিতার কথা (১৯৫৬) । এ গ্রন্থের বিখ্যাত উক্তি- ‘সকলেই কবি নন, কেউ কেউ কবি’।

কাব্যগ্রন্থ:  ঝরা পালক (১৯২৭), ধূসর পাণ্ডুলিপি (১৯৩৬), বনলতা সেন(১৯৪২), মহাপৃথিবী (১৯৪৪), সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮) ।

কবিতা: দর্শনা (১৯৭৩), আলো পৃথিবী (১৯৮১), মনোবিহঙ্গম, হে প্রেম, তোমারে ভেবে ভেবে (১৯৯৮), অপ্রকাশিত একান্ন (১৯৯৯), আবছায়া (২০০৪), দেশবন্ধুর প্রয়াণে।

বনলতা সেন:

১৯৪২ সালে এডগার এলেন পো রচিত ‘টু হেলেন’ কবিতার প্রভাব রয়েছে।

আবার আসিব ফিরে (রূপসী বাংলা), বাংলার তীরে, মৃত্যুর পর প্রকাশিত কাব্য, রূপসী বাংলা (১৯৩৬), বেলা অবেলা কালবেলা (১৯৬১), ১৯৫৪ সালে মৃত্যুর পূর্বে তিনি ২১ টি উপন্যাস এবং ১২৬ টি ছোটগল্প রচনা করেন। যা তার জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়নি।

পুরস্কার:

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি,  একুশে পদক (১৯৭৬) লাভ করেন।

৫৫ বছর বয়সে ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলা সাহিত্যে পঞ্চ পান্ডব কারা

জন্ম: নভেম্বর ৩০, ১৯০৮

মৃত্যু: মার্চ ১৮, ১৯৭৪

জন্মস্থান: বুদ্ধদেব বসুর জন্ম কুমিল্লায়।

একজন খ্যাতনামা বাঙালি সাহিত্যিক।রবীন্দ্রনাথের পর বাংলা সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুকে সব্যসাচী লেখক বলা হয়।

⇒বুদ্ধদেব বসু কবি ছিলেন একাধারে গল্পকার,নাট্যকার, প্রাবন্ধিক,সম্পাদক ,অনুবাদক ও সাহিত্য সমালোচক । ১৯৩৫ সালে প্রেমেন্দ্র মিত্রের সহযোগিতায় ত্রৈমাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করে প্রকাশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে থাকা অবস্থায় তিনি “বাসন্তিকা” পত্রিকা সম্পাদনা করেন।

সম্পাদিত পত্রিকাঃ প্রগতি , কবিতা।

বুদ্ধদেব বসু ও আধুনিক বাংলা সাহিত্য

বাংলা সাহিত্যে পঞ্চ পান্ডব কারা

জন্ম: ১৯০১ সালের ৩০ অক্টোবর কোলকাতায়।

মৃত্যু: ১৯৬০ সালের ২৫ জুন।

উপাধি:

ক্ল্যাসিক কবি বলা হয়।

সুধীন্দ্রনাথ কখনো উপন্যাস লেখেননি।

⇒তাঁর প্রথম কবিতা ‘কুক্কুট’ প্রবাসী পত্রিকায় ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।

‘উপস্থাপন’ কবিতায় নিজেকে ‘ক্ষণবাদী’ বলে ঘোষণা করেছেন।

কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত সম্পর্কে জীবনানন্দ দাশ বলেছেন- ‘তিনি আধুনিক বাংলার সবচেয়ে বেশি নিরাশাকোজ্জ্বল চেতনা’।

⇒১৯৪৫ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত দ্যা স্টেটসম্যান পত্রিকায় কাজ করেন।

⇒সুধীন্দ্রনাথ দত্ত প্রমথ চৌধুরীর সবুজপত্র পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। 

প্রধান সাহিত্যকর্মঃ

কাব্যগ্রন্থ:

তন্বী: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রীচরণে উৎসর্গ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ঋণ শোধের জন্য, ঋণ স্বীকারের জন্য)

অর্কেষ্ট্রা (১৯৩৫) – তাঁর শ্রেষ্ঠ প্রেম কাব্য। এতে ২৫টি কবিতা রয়েছে। এই কাব্যের একটি

কবিতা ‘শাশ্বতী’।

ত্রন্দসী, সংবর্ত, উত্তর ফাল্গুনী, দশমী।

অনুবাদ:

প্রতিধ্বনি।

গদ্যপ্রবন্ধ

স্বগত, কুলায় ও কালপুরুষ, আত্মজীবনীর খসড়া।

২৫ জুন ১৯৬০ সালে ৫৯ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলা সাহিত্যে পঞ্চ পান্ডব কারা

জন্ম : ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুলাই কলকাতায়।

মৃত্যু : ১৯৮২ সালের ৩ ডিসেম্বর।

তাকে মার্কসবাদী কবি বলা হয়।

⇒ ১৯২৩ সালে কল্লোল পত্রিকা প্রকাশ করেন।

⇒ কল্লোল পত্রিকা প্রকাশনা বন্ধ হলে সুধীন্দ্রনাথ দত্তের পরিচয় পত্রিকায় যোগদান করেন এবং সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন।

প্রধান সাহিত্যকর্মঃ

কাব্যগ্রন্থ

উর্বশী ও আর্টেমিস (১৯৩৩), চোরাবালি (১৯৩৭), সাত ভাই চম্পা, তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ, ইতিহাসের ট্রাজিক উল্লাসে, নাম রেখেছি কোমল গান্ধার, স্মৃতিসত্তা ভবিষ্যত, চিত্ররূপময় পৃথিবী, উত্তরে থাকে মৌন, রবিকরোজ্জ্বল নিজ দেশ, সেই অন্ধকার চাই, দিবানিশি, আমার হৃদয়ে বাঁচো।

অনুবাদ- এলিয়টের কবিতা: বাংলা সাহিত্যে পঞ্চ পান্ডব

প্রবন্ধ- রুচি ও প্রগতি, সাধারণের রুচি, সাহিত্যের ভবিষ্যৎ, এলোমেলো জীবন ও শিল্প সাহিত্য।

স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ- এই জীবন

সম্পাদিত পত্রিকা- পরিচয়, সাহিত্যপত্র

তার রচিত বইসমূহঃ ছড়ানো এই জীবন (আত্মজীবনী), উর্বশী ও আর্টেমিস (১৯৩২), চোরাবালি (১৯৩৮), পূর্বলেখ (১৯৪০), রুচি ও প্রগতি (১৯৪৬), সাত ভাই চম্পা, সাহিত্যের ভবিষ্যৎ (১৯৫২), সন্দীপের চর (১৯৪৭), অন্বিষ্ট (১৯৫০), নাম রেখেছি কোমল গান্ধার (১৯৫০), তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ (১৯৫৮)

রবীন্দ্রনাথ ও শিল্প সাহিত্য আধুনিকতার সমস্যা (১৯৬৬)

১৯৮২ সালের ৩ ডিসেম্বর ৭৩ বছর বয়সে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

জন্ম: ১০ এপ্রিল, ১৯০১

জন্মস্থান: পশ্চিমবঙ্গের হুগলির শ্রীরামপুর

পিতাঃ দ্বিজেশচন্দ্র চক্রবর্তী

মাতাঃ অনিন্দিতা দেবী

 মৃত্যু ১৯৮৬

অমিয় চক্রবর্তী ১৯০১ সালের ১০ এপ্রিল মামা বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের হুগলির শ্রীরামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। অমিয় চক্রবর্তীর মা অনিন্দিতা দেবী ছিলেন সাহিত্যিক। ‘বঙ্গনারী’ শিরোনামে প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখতেন।

শান্তি নিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য সচিব (১৯২৬- ১৯৩৩) ছিলেন।

তিনি মূলত ত্রিশের দশকের আধুনিক কবি।

‘বাংলাদেশ’ কবিতাটি অনিঃশেষ কাব্য গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত,১৯৭১ সালের সংঘটিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত। অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত।

প্রধান সাহিত্যকর্ম: বাংলা সাহিত্যে পঞ্চ পান্ডব

গদ্যরচনা : চলো যাই (১৯৬২), সাম্প্রতিক (১৯৬৩), পথ অন্তহীন, পুরবাসী।

কাব্যগ্রন্থ : কবিতাবলী (১৯২৫), উপহার (১৯২৭), খসড়া (১৯৩৮), মাটির দেয়াল, অমরাবতী, অভিজ্ঞান বসন্ত, পারাপার, পালাবদল, ঘরে ফেরার দিন, হারানো অর্কিড,অনিঃশেষ, পুস্পিত ইমেজ।

পুরস্কারঃ

ইউনেস্কো  (১৯৬০),

ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ (১৯৭০)

১২ ই জুন ১৯৮৬ সালে ৮৫ বছর বয়সে কলকাতার পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যুবরণ করেন।

You may also like

Leave a Comment

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ দেলোয়ার হোসেন

যোগাযোগঃ অফিসঃ ৪৩/বি, নবাবগঞ্জ বাজার, লালবাগ, ঢাকা-১২১১

মোবাইলঃ ০১৭১১৬৬৪৬৬৫

Email: info@janaojana.com

2025 All Rights Reserved by Binodonkhabor.com

অনুসরণ করুন