বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্ত আশ্চর্য - Binodon Khabor
মঙ্গলবার,৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্ত আশ্চর্য

by admin
বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্ত আশ্চর্য

বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্ত আশ্চর্য: মানবসৃষ্ট আশ্চর্যগুলো অনেকবার উদযাপন করা হয়েছে, কিন্তু প্রকৃতিরও নিজস্ব তালিকা আছে।

এই একক এবং অনন্য প্রাকৃতিক স্থানগুলো হলো বিশ্বের সাতটি প্রাকৃতিক আশ্চর্য যা অবশ্যই দেখার মতো।

১. গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন:

গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্যে অবস্থিত এবং কলোরাডো নদীর মাধ্যমে তৈরি। এটি তার সাংস্কৃতিক গুরুত্ব এবং

মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের জন্য সাতটি প্রাকৃতিক আশ্চর্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে।

গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন প্রায় ৩০০ মাইল লম্বা। এর সবচেয়ে প্রশস্ত স্থানটি ১৮ মাইল বিস্তৃত এবং সবচেয়ে গভীর অংশটি এক মাইলের বেশি। এর

বিশালতা, ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস, পাহাড়, গিরিখাত, উদ্ভিদ জীবন এবং প্রাণীজগতের বৈচিত্র্য একে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

কিছু এলাকার বাস্তুতন্ত্র বসবাসের জন্য সুবিধাজনক নয়

যা এ এলাকার সাংস্কৃতিক ইতিহাসকে আরও মুগ্ধকর করে তুলেছে। প্রাচীন যুগে গুহাবাসীরা এখানে বাস করেছিল, পরে নাভাজো,

হাভাসুপাই এবং হুয়ালাপাইসহ নেটিভ আমেরিকান জাতিগোষ্ঠী এখানে বসতি স্থাপন করে।

গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ন্যাশনাল পার্ক পরিদর্শন করে এই আশ্চর্য উপভোগ করা সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। যদি প্রথমবারের মতো আসেন, সাউথ

রিমে যান। এটি পর্যটকদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় এবং এখানে অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। ভিড় এড়াতে এবং নতুন দৃষ্টিকোণ

থেকে ক্যানিয়ন দেখতে নর্থ রিমে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

২. গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ: বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্ত আশ্চর্য

অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র্যময় সামুদ্রিক জীবনের জন্য বিখ্যাত।

এটি ২,০০০-এর বেশি পৃথক প্রবালের সমষ্টি, যা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে সামুদ্রিক জীবের কঙ্কালের বর্জ্য থেকে তৈরি হয়েছে।

প্রবাল, সী অ্যানিমোন এবং সী স্পঞ্জ ছাড়াও এখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং অন্যান্য প্রাণী দেখা যায়। আফ্রিকান সাফারির মতো গ্রেট

ব্যারিয়ার রিফেরও “গ্রেট এইট” রয়েছে — ক্লাউনফিশ, বিশাল ঝিনুক, মান্টা রে, মাওরি র‍্যাস, পটেটো কড, হাঙর, কচ্ছপ এবং তিমি।

স্নোরকেলিং বা ডাইভিংয়ের মাধ্যমে রিফ দেখার সবচেয়ে উত্তম উপায়। এছাড়া পানির বাইরে থাকলে হেলিকপ্টার ট্যুর বা দ্বীপের ট্যুরও

উপভোগ করতে পারেন।

৩. রিও ডি জেনেরিও হারবার:

গুয়ানাবারা বে নামেও পরিচিত রিও ডি জেনেরিও হারবার পৃথিবীর বৃহত্তম গভীর পানির হারবার। এটি ৮০ মাইলের বেশি দীর্ঘ এবং চিনি-

রুটি পাহাড় ও কর্কোভাদো পাহাড় দ্বারা পরিবেষ্টিত।

পাহাড়ের উপরে উঠে হারবারের বিশালতা অনুভব করা যায়। একবার হারবারটি দেখে নিন, তারপর নিচের ৫০ মাইল দীর্ঘ সৈকতগুলি ঘুরে

দেখুন। জনপ্রিয় কোপাকাবানা সৈকতের পরিবর্তে, আপনি স্থানীয় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য প্রাইয়া ভার্মেলা বা গ্রুমারি বিচ পরিদর্শন করতে পারেন।

৪. মাউন্ট এভারেস্ট

বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ২৯,০২৯ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এটি নেপালের হিমালয় পর্বতমালার একটি অংশ এবং স্থানীয়

সংস্কৃতিতে দীর্ঘকাল ধরে স্থান পেয়েছে। চোমোলুংমা, যা তিব্বতীয় ভাষায় “পৃথিবীর দেবী মাতা” অর্থ বোঝায়, এবং সাগরমাথা, যা সংস্কৃত ভাষায় “স্বর্গের চূড়া” অর্থে ব্যবহৃত হয়।

শেরপা সম্প্রদায় মাউন্ট এভারেস্টকে পবিত্র হিসাবে বিবেচনা করে এবং আরোহনকে নিষিদ্ধ মনে করতেন। তবে বিদেশি অভিযাত্রীদের

আগমনে এটি বদলে যায়। মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণ অধিকাংশ মানুষের জন্য সম্ভব নয়। যারা এতে আগ্রহী, তারা সাগরমাথা ন্যাশনাল পার্কে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

৫. উত্তর মেরু আলো

বৈজ্ঞানিকভাবে অরোরা বোরিয়ালিস নামে পরিচিত এই আলোর শো বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়। আলো দেখার সম্ভাবনা বাড়াতে কানাডা,

আলাস্কা, নরওয়ে বা আইসল্যান্ডে যেতে পারেন।

৬. প্যারিকুটিন আগ্নেয়গিরি: বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্ত আশ্চর্য

মেক্সিকোর মিচোয়াকান রাজ্যে অবস্থিত প্যারিকুটিন একটি ছোট আগ্নেয়গিরি। এটি ১৯৪৩ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত নয় বছরের

অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে গঠিত। এটি পৃথিবীর ভূমি পুনর্গঠনের প্রমাণ এবং পায়ে বা ঘোড়ায় চড়ে এটি ঘুরে দেখা যায়।

৭. ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত

আফ্রিকার জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের সীমান্তে জাম্বেজি নদীর উপর অবস্থিত ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। এর দৈর্ঘ্য ৫,৫০০ ফুটের বেশি এবং নাইয়াগ্রা জলপ্রপাতের চেয়ে দ্বিগুণ গভীর।

এটি “মসি-ওয়া-তুনিয়া” বা “গর্জন করে এমন ধোঁয়া” নামেও পরিচিত।

You may also like

Leave a Comment

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ দেলোয়ার হোসেন

যোগাযোগঃ অফিসঃ ৪৩/বি, নবাবগঞ্জ বাজার, লালবাগ, ঢাকা-১২১১

মোবাইলঃ ০১৭১১৬৬৪৬৬৫

Email: info@janaojana.com

2025 All Rights Reserved by Binodonkhabor.com

অনুসরণ করুন