অদ্ভুত আঁধার এক- জীবনানন্দ দাশ - Binodon Khabor
বৃহস্পতিবার,২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অদ্ভুত আঁধার এক- জীবনানন্দ দাশ

জীবনানন্দ দাশ বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাংলা কবি

by admin
সুরঞ্জনা-জীবনানন্দ দাশ

জীবনানন্দ দাশ (Jibanananda Das) ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি (৬ ফাল্গুন, ১৩০৫ বঙ্গাব্দ) বর্তমান বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। অদ্ভুত আঁধার এক- জীবনানন্দ দাশ। জীবনানন্দ দাশ বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাংলা কবি। তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অগ্রগণ্য। মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ধাপে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে যখন তাঁর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তম কবিতে পরিণত হয়েছেন। তিনি প্রধানত কবি হলেও বেশ কিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা ও প্রকাশ করেছেন। তবে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ২২ অক্টোবরে (৫ কার্তিক, ১৩৬১ বঙ্গাব্দ) অকাল মৃত্যুর আগে তিনি নিভৃতে ১৪টি উপন্যাস এবং ১০৮টি ছোটগল্প রচনা গ্রন্থ করেছেন যার একটিও তিনি জীবদ্দশায় প্রকাশ করেননি। তাঁর জীবন কেটেছে চরম দারিদ্রের মধ্যে। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধকাল অনপনেয়ভাবে বাংলা কবিতায় তাঁর প্রভাব মুদ্রিত হয়েছে। রবীন্দ্র-পরবর্তীকালে বাংলা ভাষার প্রধান কবি হিসাবে তিনি সর্বসাধারণ্যে স্বীকৃত। (উৎসঃ উইকিপিডিয়া)

কার্তিকের ভোরবেলা কবে

চোখে মুখে চুলের ওপরে

যে শিশির ঝরল তা

শালিক ঝরাল ব’লে ঝরে

আমলকি গাছ ছুঁয়ে তিনটি শালিক

কার্তিকের রোদে আর জলে

আমারি হৃদয় দিয়ে চেনা তিন নারীর মতন;

সূর্য? না কি সূর্যের চপ্পলে

পা গলিয়ে পৃথিবীতে এসে

পৃথিবীর থেকে উড়ে যায়

এ জীবনে আমি ঢের শালিক দেখেছি

তবু সেই তিনজন শালিক কোথায়?

পান্ডুলিপি কাছে রেখে ধূসর দীপের কাছে আমি

নিস্তব্ধ ছিলাম ব’সে;

শিশির পড়িতেছিলো ধীরে-ধীরে খ’সে;

নিমের শাখার থেকে একাকীতম কে পাখি নামি

উড়ে গেলো কুয়াশায়, — কুয়াশার থেকে দূর-কুয়াশায় আরো।

তাহারি পাখার হাওয়া প্রদীপ নিভায়ে গেলো বুঝি?

অন্ধকার হাৎড়ায়ে ধীরে-ধীরে দেশলাই খুঁজি;

যখন জ্বালিব আলো কার মুখ দেখা যাবে বলিতে কি পারো?

কার মুখ? —আমলকী শাখার পিছনে

শিঙের মত বাঁকা নীল চাঁদ একদিন দেখেছিলো তাহা;

এ-ধূসর পান্ডুলিপি একদিন দেখেছিলো, আহা,

সে-মুখ ধূসরতম আজ এই পৃথিবীর মনে।

তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে,

পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন,

মানুষ র’বে না আর, র’বে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখনঃ

সেই মুখ আর আমি র’বো সেই স্বপ্নের ভিতরে।

(মহাপৃথিবী, ১৯৪৪)

অদ্ভুত আঁধার এক- জীবনানন্দ দাশ

কোথাও পাখির শব্দ শুনি;

কোনো দিকে সমুদ্রের সুর;

কোথাও ভোরের বেলা র’য়ে গেছে – তবে।

অগণন মানুষের মৃত্যু হ’লে – অন্ধকারে জীবিত ও মৃতের হৃদয়

বিস্মিতের মতো চেয়ে আছে;

এ কোন সিন্ধুর সুর:

মরণের – জীবনের?

এ কি ভোর?

অনন্ত রাত্রির মতো মনে হয় তবু।

একটি রাত্রির ব্যথা সয়ে –

সময় কি অবশেষে এ-রকম ভোরবেলা হয়ে

আগামী রাতের কালপুরুষের শস্য বুকে ক’রে জেগে ওঠে?

কোথাও ডানার শব্দ শুনি;

কোন দিকে সমুদ্রের সুর –

দক্ষিণের দিকে,

উত্তরের দিকে,

পশ্চিমের পানে?

সৃজনের ভয়াবহ মানে;

তবু জীবনের বসন্তের মতন কল্যাণে

সূর্যালোকিত সব সিন্ধু-পাখিদের শব্দ শুনি;

ভোরের বদলে তবু সেইখানে রাত্রি করোজ্জ্বল

ভিয়েনা, টোকিও, রোম, মিউনিখ – তুমি?

সার্থবাহ, সার্থবাহ, ওইদিকে নীল

সমুদ্রের পরিবর্তে আটলাণ্টিক চার্টার নিখিল মরুভূমি!

বিলীন হয় না মায়ামৃগ – নিত্য দিকদর্শিন;

যা জেনেছে – যা শেখেনি –

সেই মহাশ্মশানের গর্ভাঙ্কে ধূপের মত জ্ব’লে

জাগে না কি হে জীবন – হে সাগর –

শকুন্ত-ক্রান্তির কলরোলে।

(সাতটি তারার তিমির, ১৯৪৮)

অদ্ভুত আঁধার এক- জীবনানন্দ দাশ

সুজাতাকে ভালোবাসতাম আমি —

এখনো কি ভালোবাসি?

সেটা অবসরে ভাববার কথা,

অবসর তবু নেই;

তবু একদিন হেমন্ত এলে অবকাশ পাওয়া যাবে

এখন শেলফে চার্বাক ফ্রয়েড প্লেটো পাভলভ ভাবে

সুজাতাকে আমি ভালোবাসি কি না।

পুরোনো চিঠির ফাইল কিছু আছে:

            সুজাতা লিখেছে আমার কাছে,

বারো তেরো কুড়ি বছর আগের সে-সব কথা;

            ফাইল নাড়া কি যে মিহি কেরানীর কাজ;

            নাড়বো না আমি

            নেড়ে কার কি লাভ;

মনে হয় অমিতা সেনের সাথে সুবলের ভাব,

            সুবলেরই শুধু? অবশ্য আমি তাকে

মানে এই — অমিতা বলছি যাকে —

        কিন্তু কথাটা থাক;

        কিন্তু তবুও —

আজকে হৃদয় পথিক নয়তো আর,

নারী যদি মৃগতৃষ্ণার মতো — তবে

এখন কি করে মন কারভান হবে।

প্রৌঢ় হৃদয়, তুমি

সেই সব মৃগতৃষ্ণিকাতলে ঈষৎ সিমুমে

হয়তো কখনো বৈতাল মরুভুমি,

হৃদয়, হৃদয় তুমি!

তারপর তুমি নিজের ভিতরে ফিরে এসে তব চুপে

মরীচিকা জয় করেছো বিনয়ী যে ভীষন নামরূপে

সেখানে বালির সৎ নিরবতা ধূ ধূ

প্রেম নয় তবু প্রমেরই মতন শুধু।

অমিতা সেনকে সুবল কি ভালোবাসে?

অমিতা নিজে কি তাকে?

            অবসর মতো কথা ভাবা যাবে,

            ঢের অবসর চাই;

            দূর ব্রহ্মাণ্ডকে তিলে টেনে এনে সমাহিত হওয়া চাই

            এখনি টেনিসে যেতে হবে তবু,

            ফিরে এসে রাতে ক্লাবে;

কখন সময় হবে।

হেমন্তে ঘাসে নীল ফুল ফোঁটে —

            হৃদয় কেন যে কাঁপে,

‘ভালোবাসতাম’ — স্মৃতি — অঙ্গার — পাপে

            তর্কিত কেন রয়েছে বর্তমান।

সে-ও কি আমায় — সুজাতা আমায় ভালোবেসে ফেলেছিলো?

            আজো ভালোবাসে নাকি?

ইলেকট্রনেরা নিজ দোষগুনে বলয়িত হয়ে রবে;

কোনো অন্তিম ক্ষালিত আকাশে এর উত্তর হবে?

সুজাতা এখন ভুবনেশ্বরে;

            অমিতা কি মিহিজামে?

বহুদিন থেকে ঠিকানা না জেনে ভালোই হয়েছে — সবই।

ঘাসের ভিতরে নীল শাদা ফুল ফোটে হেমন্তরাগে;

সময়ের এই স্থির এক দিক,

            তবু স্থিরতর নয়;

প্রতিটি দিনের নতুন জীবাণু আবার স্থাপিত হয়।

অদ্ভুত আঁধার এক- জীবনানন্দ দাশ

এই সব শীতের রাতে আমার হৃদয়ে মৃত্যু আসে;

বাইরে হয়তো শিশির ঝরছে, কিংবা পাতা,

কিংবা প্যাঁচার গান; সেও শিশিরের মতো, হলুদ পাতার মতো।

শহর ও গ্রামের দূর মোহনায় সিংহের হুঙ্কার শোনা যাচ্ছে —

সার্কাসের ব্যথিত সিংহের।

এদিকে কোকিল ডাকছে – পউষের মধ্য রাতে;

কোনো-একদিন বসন্ত আসবে ব’লে?

কোনো-একদিন বসন্ত ছিলো, তারই পিপাসিত প্রচার?

তুমি স্থবির কোকিল নও? কত কোকিলকে স্থবির হ’য়ে যেতে দেখেছি,

                                    তারা কিশোর নয়,

কিশোরী নয় আর;

কোকিলের গান ব্যবহৃত হ’য়ে গেছে।

সিংহ হুঙ্কার ক’রে উঠছে:

সার্কাসের ব্যথিত সিংহ,

শীতরাত

স্থবির সিংহ এক — আফিমের সিংহ — অন্ধ — অন্ধকার।

চারদিককার আবছায়া-সমুদ্রের ভিতর জীবনকে স্মরণ করতে গিয়ে

মৃত মাছের পুচ্ছের শৈবালে, অন্ধকার জলে, কুয়াশার পঞ্জরে হারিয়ে

                                       যায় সব।

সিংহ অরন্যকে পাবে না আর

পাবে না আর

পাবে না আর

কোকিলের গান

বিবর্ণ এঞ্জিনের মত খ’শে খ’শে

চুম্বক পাহাড়ে নিস্তব্ধ।

হে পৃথিবী,

হে বিপাশামদির নাগপাশ,— তুমি

পাশ ফিরে শোও,

কোনোদিন কিছু খুঁজে পাবে না আর।

(মহাপৃথিবী, ১৯৪৪)

অদ্ভুত আঁধার এক- জীবনানন্দ দাশ

আমাদের জানা ছিলো কিছু;

কিছু ধ্যান ছিলো;

আমাদের উৎস-চোখে স্বপ্নছটা প্রতিভার মতো

হয়তো-বা এসে পড়েছিলো;

মৃত্যু স্বপ্ন সংকল্প

আমাদের আশা সাধ প্রেম ছিলো; – নক্ষত্রপথের

অন্তঃশূণ্যে অন্ধ হিম আছে জেনে নিয়ে

তবুও তো ব্রহ্মাণ্ডের অপরূপ অগ্নিশিল্প জাগে;

আমাদেরো গেছিলো জাগিয়ে

পৃথিবীতে;

আমরা জেগেছি – তবু জাগাতে পারিনি;

আলো ছিলো – প্রদীপের বেষ্টনী নেই;

কাজ ছিলো – শুরু হলো না তো;

তাহলে দিনের সিঁড়ি কি প্রয়োজনের?

নিঃস্বত্ব সূর্যকে নিয়ে কার তবে লাভ!

স্বচ্ছল শাণিত নদী,

তীরে তার সারস-দম্পতি

ঐ জল ক্লান্তিহীন উৎসানল অনুভব ক’রে ভালোবাসে;

তাদের চোখের রং অনন্ত আকৃতি পায় নীলাভ আকাশে;

দিনের সূর্যের বর্ণে রাতের নক্ষত্র মিশে যায়;

তবু তারা প্রণয়কে সময়কে চিনেছে কি আজো?

প্রকৃতির সৌন্দর্যকে কে এসে চেনায়!

– অংশবিশেষ –

আমাকে একটি কথা দাও যা আকাশের মতো

সহজ মহৎ বিশাল,

গভীর; –

সমস্ত ক্লান্ত হতাহত গৃহবলিভুকদের রক্তে

মলিন ইতিহাসের অন্তর ধুয়ে চেনা হাতের মতন,

আমি যাকে আবহমান কাল ভালোবেসে এসেছি সেই নারীর।

সেই রাত্রির নক্ষত্রালোকিত নিবিড় বাতাসের মতো: সেই দিনের – আলোর অন্তহীন এঞ্জিন চঞ্চল ডানার মতন

সেই উজ্জ্বল পাখিনীর – পাখির সমস্ত পিপাসাকে যে

অগ্নির মতো প্রদীপ্ত দেখে অন্তিমশরীরিণী মোমের মতন।

(বেলা অবেলা কালবেলা, ১৯৬১)

এইখানে সরোজিনী শুয়ে আছে; – জানি না সে এইখানে

শুয়ে আছে কিনা।

অনেক হয়েছে শোয়া; – তারপর একদিন চ’লে গেছে

কোন দূর মেঘে।

অন্ধকার

শেষ হ’লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে :

সরোজিনী চলে গেলো অতদূর? সিঁড়ি ছাড়া – পাখিদের

মত পাখা বিনা?

হয়তো বা মৃত্তিকার জ্যামিতিক ঢেউ আজ? জ্যামিতির

ভূত বলে: আমি তো জানি না।

জাফরান – আলোকের বিশুষ্কতা সন্ধ্যার আকাশে আছে লেগে:

লুপ্ত বেড়ালের মত; শূণ্য চাতুরির মূঢ় হাসি নিয়ে জেগে।

(সাতটি তারার তিমির, ১৯৪৮)

তুমি তো জানো না কিছু – না জানিলে,

আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে;

যখন ঝরিয়া যাবো হেমন্তের ঝড়ে –

পথের

পাতার মতো তুমিও তখন

আমার বুকের ‘পরে শুয়ে রবে?

অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন

সেদিন তোমার!

তোমার এ জীবনের ধার

ক্ষ’য়ে যাবে সেদিন সকল?

আমার বুকের ‘পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল,

তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই;

শুধু তার স্বাদ

তোমারে কি শান্তি দেবে?

আমি ঝ’রে যাবো – তবু জীবন অগাধ

তোমারে রাখিবে ধ’রে সেদিন পৃথিবীর ‘পরে,

– আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে।

— অংশবিশেষ —

(ধুসর পাণ্ডুলিপি, ১৯৩৬)

অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ,

যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা;

যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই – প্রীতি নেই – করুণার আলোড়ন নেই

পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।

যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি

এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক ব’লে মনে হয়

মহত্‍‌ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা

শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।

মাছরাঙা চ’লে গেছে — আজ নয় কবেকার কথা;

তারপর বারবার ফিরে এসে দৃশ্যে উজ্জল।

দিতে চেয়ে মানুষের অবহেলা উপেক্ষায় হ’য়ে গেছে ক্ষয়;

বেদনা পেয়েছে তবু মানুষের নিজেরও হৃদয়

প্রকৃতির অনির্বচনীয় সব চিহ্ন থেকে দু’ চোখ ফিরিয়ে;

বুদ্ধি আর লালসার সাধনাকে সব চেয়ে বড় ভেবে নিয়ে।

মাছরাঙা চ’লে গেছে — আজ নয় কবেকার কথা;

তারপর বারবার ফিরে এসে ডানাপালকের উজ্জলতা

ক্ষয় ক’রে তারপর হয়ে গেছে ক্ষয়।

মাছরাঙা মানুষের মতো সূর্য নয়?

কাজ করে কথা ব’লে চিন্তা করে চলেছে মানব;

যদিও সে শ্রেষ্ঠ চিন্তা সারাদিন চিন্তানাশা সাগরের জলে

ডুবে গিয়ে নিঃশব্দতা ছাড়া আর অন্য কিছু বলে?

(আলোপৃথিবী/১৩৮৮ বাংলা)

একটি নক্ষত্র আসে; তারপর একা পায়ে চ’লে

ঝাউয়ের কিনার ঘেঁষে হেমন্তের তারাভরা রাতে

সে আসবে মনে হয়; – আমার দুয়ার অন্ধকারে

কখন খুলেছে তার সপ্রতিভ হাতে!

হঠাৎ কখন সন্ধ্যা মেয়েটির হাতের আঘাতে

সকল সমুদ্র সূর্য সত্বর তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাত্রি হতে পারে

সে এসে এগিয়ে দেয়;

শিয়রে আকাশ দূর দিকে

উজ্জ্বল ও নিরুজ্জ্বল নক্ষত্র গ্রহের আলোড়নে

অঘ্রানের রাত্রি হয়;

এ-রকম হিরন্ময় রাত্রি ইতিহাস ছাড়া আর কিছু রেখেছে কি মনে।

শেষ ট্রাম মুছে গেছে, শেষ শব্দ, কলকাতা এখন

জীবনের জগতের প্রকৃতির অন্তিম নিশীথ;

চারিদিকে ঘর বাড়ি পোড়ো-সাঁকো সমাধির ভিড়;

সে অনেক ক্লান্তি ক্ষয় অবিনশ্বর পথে ফিরে

যেন ঢের মহাসাগরের থেকে এসেছে নারীর

পুরোনো হৃদয় নব নিবিড় শরীরে।

You may also like

Leave a Comment

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ দেলোয়ার হোসেন

যোগাযোগঃ অফিসঃ ৪৩/বি, নবাবগঞ্জ বাজার, লালবাগ, ঢাকা-১২১১

মোবাইলঃ ০১৭১১৬৬৪৬৬৫

Email: info@janaojana.com

2025 All Rights Reserved by Binodonkhabor.com

অনুসরণ করুন